

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল মারা গেছেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ৮৯ বছর বয়সে জীবনের মায়া কাটিয়ে বিদায় নিলেন তিনি।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারজুড়ে অসংখ্য স্মরণীয় চরিত্র দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নেওয়া এই কিংবদন্তিকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় গত অক্টোবরের শেষ দিকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসা নিয়ে মাত্র ১২ দিন আগে বাসায় ফিরলেও শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হয়নি। অবশেষে নিজ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা।
সোমবার সকালেই তার জুহুর বাসভবনে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার পর পরিস্থিতি ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং সাধারণ মানুষকে প্রবেশে সীমাবদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতের একাধিক বিনোদনমাধ্যম জানিয়েছে, সালমান খান, শাহরুখ খানসহ চলচ্চিত্র অঙ্গনের পরিচিত তারকারা ইতোমধ্যে ধর্মেন্দ্রর বাসায় পৌঁছেছেন।
একই সঙ্গে শহরের ভিলে পার্লে শ্মশান ঘিরেও তীব্র আলোচনার জন্ম হয়েছে। সেখানে হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওলসহ পরিবারের সদস্যদের দেখা গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় পুরো বিষয়টিকে ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
অনেকের মতে, কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মেন্দ্র-সংক্রান্ত একটি ভুল মৃত্যুখবর ছড়িয়ে পড়ায় এবার পরিবার সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় সময় নিচ্ছে।
এরই মধ্যে বলিউড পরিচালক করণ জোহর সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন- একটি যুগের ইতি। মূলধারার ভারতীয় সিনেমায় নায়কত্বকে যে মানুষ সংজ্ঞায়িত করেছিলেন, তিনি ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তার ব্যক্তিত্ব, পর্দায় উপস্থিতি ও সুদর্শন চেহারা তাকে ইতিহাসের পাতায় অমর করে রেখেছে।
১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন ধর্মেন্দ্র। কর্মজীবনের প্রথম দিকেই ‘বন্দিনী’, ‘অনপধ’, ‘অনুপমা’, ‘আয়া সাওয়ান ঝুম কে’-এর মতো চরিত্রনির্ভর ছবিতে অভিনয় করে দ্রুতই দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন।
পরে অ্যাকশন ও রোমান্স দুই ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বলিউডের আলোকিত নায়কদের অন্যতম হিসেবে। ‘শোলে’, ‘ধরম-বীর’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ড্রিম গার্ল’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা তাকে এনে দেয় কিংবদন্তির মর্যাদা। শক্তিশালী শারীরিক গঠন ও অ্যাকশন দৃশ্যে দুর্দান্ত উপস্থিতির কারণে ভক্তরা তাকে ভালোবেসে ডাকত ‘হি-ম্যান’ নামে।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক অবিনশ্বর অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো তার প্রস্থানকে কেন্দ্র করে। তবে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে তার কাজ ও স্মৃতি বেঁচে থাকবে বহুদিন।
মন্তব্য করুন
