

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লাক্স-তারকা থেকে শুরু করে রূপালি পর্দা, তারপর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আর বলিউড—প্রতিটি ধাপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে এই সাফল্যের পথ তার জন্য সহজ ছিল না। পেশাগত লড়াইয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও একাই সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রভাবক মানুষদের কথা তুলে ধরেন বাঁধন।
পুরুষদের নিয়ে ভুল ধারণা
বাঁধন লিখেছেন, অনেকেই মনে করেন তিনি পুরুষদের অপছন্দ করেন। কিন্তু তার বক্তব্য—তিনি আসলে ঘৃণা করেন পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকে, যা নারী-পুরুষ উভয়ের মাধ্যমেই টিকে আছে। মানুষের প্রতি তার ঘৃণা নেই, বরং সেই সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই তার অবস্থান।
জীবনের ইতিবাচক প্রভাব
অভিনেত্রীর ভাষায়, জীবনের অনেক পুরুষ তাকে গড়ে তুলেছেন। সবচেয়ে বড় প্রভাবক তার বাবা। এরপর উল্লেখ করেছেন ‘রেহানা’ ছবির পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের নাম।
তিনি আরও বলেন, তার দুই ভাই আজীবনের সহচর। বিশেষ করে ছোট ভাই রাশা শুধু ভাই নয়, সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুও। বড় ভাইও জীবনের কঠিন সময়ে পাশে থেকেছেন, যা তিনি কখনো ভুলবেন না।
পৈতৃক সম্পত্তি প্রসঙ্গে বাঁধন জানান, তার দুই ভাই শেয়ার সমানভাবে ভাগ করেছেন। যদিও প্রচলিত শরীয়াহ আইনে মেয়েরা সমান অংশ পান না, তবু ভাইদের ন্যায্যতা ও ভালোবাসার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
নেতিবাচক অভিজ্ঞতা
বাঁধনের জীবনে এমন পুরুষও ছিলেন, যারা তাকে কষ্ট, সহিংসতা ও অবমাননার মধ্যে ফেলেছেন। তবে তাদের প্রতিকূল আচরণই তাকে শক্ত করে তুলেছে। তিনি বলেন, “তারা ভাঙতে চেয়েছিল, কিন্তু সেই আঘাতই আমাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিয়েছে।”
স্ট্যাটাসের শেষ অংশে বাঁধন স্পষ্ট করেন, তিনি পুরুষদের অপছন্দ করেন না। বরং ঘৃণা করেন পিতৃতন্ত্রকে, যা নারী-পুরুষ উভয়কেই শৃঙ্খলিত করে রাখে। আর তার জীবনের সব পুরুষ—ভালো কিংবা খারাপ—তার গল্পের অংশ হয়েই থাকবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
