

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে অনিয়মে ভরপুর ও বিতর্কিত আখ্যা দিলেও চূড়ান্ত ফলাফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।
শুক্রবার গভীর রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাগছাস নেতারা এ অবস্থান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাগছাস সমর্থিত “শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম” প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল। এরপর বক্তব্য রাখেন জিএস পদপ্রার্থী ও সংগঠনের সদস্য সচিব আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।
সিয়াম বলেন, “জাকসু নির্বাচন দীর্ঘদিন পর শুরু হওয়ায় আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। তবে নানা অনিয়ম ও প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় এই ভোট বিতর্কিত হয়েছে। তবুও এটিকে বর্জন করলে ভবিষ্যতে হয়তো আরও দীর্ঘ সময় কোনো নির্বাচন হতো না।”
তিনি আরও জানান, ত্রুটিপূর্ণ হলেও জাকসু গঠিত হওয়া শিক্ষক–শিক্ষার্থীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজনীয়।
বক্তব্যে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাজে অসংগতি ছিল। প্রার্থিতা বাতিল, ব্যালটপেপার ছাপানো নিয়ে বিভ্রান্তি, ডোপ টেস্টের ফল না প্রকাশ, ব্যালটবাক্স পরিবহনে অনিয়মসহ নানা বিষয় নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না হওয়া, ছবি ছাড়া ব্যালট, ভোটার যাচাই প্রক্রিয়ায় ঘাটতি এবং কিছু হলে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে বাগছাস।
তাদের দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের আগ্রহ প্রশাসনের ছিল না, বরং প্রস্তুতির অভাবের সুযোগ নিয়েছে একটি বিশেষ পক্ষ। তবুও শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বাগছাসের ভাষ্য, “ত্রুটিপূর্ণ জাকসুও শূন্যতার চেয়ে ভালো।” তবে এই নির্বাচনের দায়ভার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ করে সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। পরে একে একে পাঁচটি প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও বাগছাস ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।
মন্তব্য করুন
