

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)। দীর্ঘ সময় পর এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা ও আলোচনার ঝড়।
শুধু ছাত্র-শিক্ষকরাই নন, দেশের রাজনৈতিক মহলও গভীর নজর রাখছে এই ভোটের দিকে। কারণ অনেকের মতে, ডাকসু নির্বাচন হবে প্রশাসনের দক্ষতা ও প্রস্তুতি যাচাইয়ের অন্যতম বড় পরীক্ষা, যা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য দিকনির্দেশনা মূলক ভূমিকা রাখতে পারে।
ডাকসু নির্বাচন বরাবরই বাংলাদেশে একটি প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। এখানে ছাত্রদের অংশগ্রহণ যেমন উচ্চমাত্রায় থাকে, তেমনি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও নিজেদের শক্তি প্রমাণের চেষ্টা করে থাকে। ভোটের দিন শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা—এসব বিষয়েই প্রশাসনের কার্যকারিতা পরিমাপ করা হবে।
বিশেষ করে ভোটকেন্দ্র পরিচালনা, প্রার্থীদের প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ এবং অনিয়ম প্রতিরোধে কতটা সফল হয় প্রশাসন, তা সবার চোখে পড়বে।
বিশ্লেষকদের মতে, ডাকসু নির্বাচন একটি ক্ষুদ্র আকারের জাতীয় নির্বাচনের প্রতিচ্ছবি। যদি এটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের মানুষের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়েও ইতিবাচক প্রত্যাশা তৈরি হবে।
আবার যদি ভোটে বিশৃঙ্খলা, কেন্দ্র দখল বা কারচুপির অভিযোগ ওঠে, তবে তা প্রশাসনের সামর্থ্য ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভোটকে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন। কেউ মনে করছেন, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। অন্যদিকে অনেকে আশঙ্কা করছেন, দলীয় প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠতে পারে।
প্রশাসন অবশ্য দাবি করছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুত ভোটগণনা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সব মিলিয়ে আগামীকালকের ডাকসু নির্বাচন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি পুরো জাতির জন্য একটি বার্তা বহন করবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ভোটই বলে দেবে, প্রশাসন আসলেই কতটা প্রস্তুত এবং জনগণের আস্থা অর্জনে তারা কতটা সফল হতে পারে।
মন্তব্য করুন