

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশব্যাপী আন্দোলন চলমান থাকলেও সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) জানিয়ে দিয়েছে—পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বর থেকেই ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে কমিশনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জানা যায়, কয়েক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি অংশ পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানাচ্ছেন।
‘যৌক্তিক সময়ে’ লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সাম্প্রতিক দুই দিন রাজশাহী ও ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীরা রেললাইনও অবরোধ করেন, যার কারণে ট্রেন চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে।
আন্দোলনকারীরা পরীক্ষা স্থগিত না হলে অনশন করার কথাও জানান। আন্দোলন কারীদের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিবৃতি দিয়ে সমর্থন জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বহু প্রার্থী বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ অনশনেও বসেছেন এবং কয়েকবার পিএসসির সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন।
পিএসসি জানায়-
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে।
আবেদন গ্রহণ করা হয় ডিসেম্বর–জানুয়ারি মাসে।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই পরীক্ষার ভিত্তিতে ১০,৬৪৪ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
লিখিত পরীক্ষার তারিখ চলতি বছরের ৩ জুনেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ প্রায় ছয় মাস আগেই পরীক্ষার সূচি জানা ছিল।
কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, “লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে”—এমন অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয়।
‘বিসিএস প্রস্তুতি কয়েক মাসের বিষয় নয়’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া, যা প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের ধারাবাহিক পাঠাভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই পরীক্ষা এগিয়ে বা পেছানোর ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নির্ধারিত হয় না।
পিএসসির মতে, নির্ধারিত পরীক্ষা এড়িয়ে যেতে চাওয়াকে একজন প্রকৃত চাকরিপ্রার্থীর শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলা যায় না।
রোডম্যাপ ব্যাহত হবে, তাই সময় পরিবর্তন নয়
কমিশন জানায়, বর্তমান পিএসসি দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের বহু পরীক্ষা ও পুরোনো জটিলতা নিষ্পত্তির দায়িত্ব কমিশনের উপর আসে। এগুলো দ্রুত শেষ করার অংশ হিসেবে বিগত মে–জুনে একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়, যার আওতায় কয়েকটি বিশেষ বিসিএস (৪৮ ও ৪৯) এবং বহু নন-ক্যাডার পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হলে এই রোডম্যাপ রক্ষা করা সম্ভব হবে না এবং পরবর্তী কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। এ কারণেই পরীক্ষা পিছানোর দাবির বিরোধিতা করছে পিএসসি।
মন্তব্য করুন
