

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী ও তিন পুরুষ শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘিরে রেখেছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দয়াগঞ্জ মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মাগুরাগামী সাদ সুপার বাসের চালক কাকন মিয়া জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় বাস সংকট ও যাত্রা বিলম্বের কারণে শিক্ষার্থীরা বিরক্ত ছিলেন।
দয়াগঞ্জ মোড়ে সিগনালে থামলে শিক্ষার্থীরা কয়েকজন নেমে রাস্তা থেকে যানজটমুক্ত করে বাসটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তখন সেখানে উপস্থিত তিনজন ট্রাফিক পুলিশ শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বাজে আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রাফিক সহায়তাকারীরা শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা পুলিশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
এসময় বাস থামিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের পাশের ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাসে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অবস্থান নেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- তালহা (সিএসই-২০), আল-আমিন (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা-১৯), সোহেল (সমাজবিজ্ঞান-১৯), চৈতি আলম (১৫ ব্যাচের নারী শিক্ষার্থী)। আহতরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে অভিযোগযুক্ত তিন ট্রাফিক সহায়তাকারীকে ঘিরে রাখেন।
ওয়ারী জোনের ডিসি হারুন উর রশিদ বলেন, আমরা আশা করি শিক্ষার্থীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। আমাদের সহযোগিতা করুন, আমরা যথাযথ আইন মেনে ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমরা ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
দয়াগঞ্জ মোড়ের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসংখ্য সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের তিন সহায়তাকারীকে পুলিশের গাড়ি করে গেন্ডারিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সরিয়ে রাস্তা চলাচলের জন্য স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মন্তব্য করুন