ছাত্রলীগ ঠেকাতে উত্তাল ঢাবি ,ডাকসুর হুংকার 

বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)সহ সারা বাংলাদেশে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এরই মধ্যে দুর্বৃত্তদের দ্বারা ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)রাত নয় টায় ককটেল বিস্ফোরণে ঢাবির দুই নারী শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক সংগঠনের বিপরীতে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে হুংকার দিয়েছে ডাকসু।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে বিক্ষোভ ।প্রাথমিকভাবে জানা যায় আহত দুই নারী শিক্ষার্থীদের দুজনই ঢাবির রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

বিক্ষোভটি ডাকসু ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ভিপি সাদিক আওয়ামী লীগেকে সন্ত্রাসী সংগঠন ও বাংলাদেশের জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে খুনি হাসিনার দোসরদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশের সক্রিয় সকল ছাত্র সংগঠনকে মতবিরোধ ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ইন্টেরিম সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই দেড় বছরে হাসিনার দোসরদের প্রতিহতে কী ভূমিকা নিয়েছে। যারা খুনি হাসিনার দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আপনারা হুশিয়ার হয়ে যান। আমরা আপনাদের দেখে নেবো।

বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত অগ্নিসন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটা প্রতিহতে ছাত্রজনতা রাস্তায় নেমে এসেছে। কিন্তু এটা তাদের দায়িত্ব নয়। এখানে প্রশাসন সম্পুর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আজকে প্রশাসনের সন্দেহজনক ভূমিকার পালনে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছে।

ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ হুংকার দিয়ে বলেন "কোথায় ছাত্রলীগ,কোথায় সন্ত্রাসী লীগের পান্ডা গুলো? গর্তে লুকিয়ে আছিস গর্তে থাক, বের হলেই একটারও পিঠের চামড়া থাকবে না। "

ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, যারা রিকশাওয়ালা থেকে রাস্তার হকার, সবার হাতেই মার খায়। তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে সেটা তাদের জন্যই আত্মঘাতী। আমরা মাঠে রয়েছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সকল কার্যক্রম আমরা মাঠে থেকে রুখে দেবো।