মঙ্গলবার
১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকসু ভিপি-জিএস-এজিএস ছাত্রলীগ করেই হলে ছিলেন: নাসির উদ্দীন

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন
expand
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন অভিযোগ করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) নির্বাচিত ভিপি, জিএস ও এজিএস সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে হলে অবস্থান করেছেন। কিন্তু ছাত্রদলসহ অন্য কোনো সংগঠনের নেতাকর্মীরা হলে থাকতে পারেননি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাসির উদ্দীন বলেন, ঢাকসুর নির্বাচিত ভিপি, জিএস ও এজিএস সবাই ফ্যাসিবাদী আমল থেকেই হলে থাকতেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। অন্যদিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার কারণে ছাত্রদলসহ অন্যান্য সংগঠনের কেউ হলে থাকতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে আসছি, কিন্তু তা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি-জিএস নির্বাচিতরাও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফলে দেখা গেছে, ভিপি-জিএস হতে হলে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা যেন এক ধরনের শর্তে পরিণত হয়েছে। তবে যেভাবেই নির্বাচন হোক, ছাত্রদল সবসময় ন্যায়, গণতন্ত্র ও শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ছাত্রদল অতীতেও অন্যায়-জুলুমের প্রতিবাদ করেছে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, যেখানে ১৪২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। অনিয়মে ভরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও এ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের আবেগের জায়গা। এখান থেকেই আমি ছাত্ররাজনীতি শিখেছি। ৩৫ বছর পর এই ক্যাম্পাসে এসে সত্যিই আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত ১৫ বছর ছাত্রদলের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম, গবেষণা কিংবা সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারেনি। তাই এবার যদিও বড় সাফল্য আসেনি, তবু আমি ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো দেখছি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম। এসময় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন