সোমবার
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবি উপ-রেজিস্ট্রারের দাড়ি ধরে টান দেন সাবেক সমন্বয়ক আম্মার

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
উপ-উপাচার্য ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে হেনস্তার দৃশ্য, ইনসেটে সাবেক সমন্বয়ক আম্মার
expand
উপ-উপাচার্য ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে হেনস্তার দৃশ্য, ইনসেটে সাবেক সমন্বয়ক আম্মার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ধস্তাধস্তি ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপ-উপাচার্যের হাত ধরে টেনে সিঁড়িতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

একই সঙ্গে এক উপ-রেজিস্ট্রারের দাড়ি ধরে টান এবং গলা চেপে ধরে ফেলে দিয়েছেন আন্দোলনকারী কয়েকজন।

গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তিতে সাবেক সমন্বয়ক ও রাকসুর জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মারসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

জানা গেছে, পোষ্য কোটা পুনর্বহাল করে নোটিশ জারির পরই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকেন তারা। তবে বিকেলের দিকে সহিংস রূপ নেয় তাদের কর্মসূচি।

বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে তার গাড়ি আটকে তার গাড়ির উপরে প্রতীকি ‘ভিক্ষা’ ছুড়ে মারেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা উপ-উপাচার্যকে ভিক্ষা দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান করলে পাশে থাকা রিকশাচালকও গাড়ির উপরে ৫ টাকা ভিক্ষা দেন। এমনকি ১০ টাকা দিয়েছেন এক ভিক্ষুকও।

এক পর্যায়ে উপ-উপাচার্যের গাড়ির চাবি কেড়ে নেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। ফলে তিনি পায়ে হেটে বাসভবনের দিকে রওনা দিলে তার বাসভবনে ঢুকতে না দিয়ে গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি প্রক্টর মাহবুবর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জুবেরী ভবনের দিকে যান। শিক্ষার্থীরাও পিছু পিছু হাটতে শুরু করে। উপ-উপাচার্যকে জুবেরী ভবনে উঠতে না দিয়ে তাকে জাপটে ধরে আটকে রাখেন আন্দোলনকারীরা।

এক পর্যায়ে সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ কয়েকজনকে সামনে থেকে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় পাশে থাকা প্রক্টর ও শিক্ষকরা উপ-উপাচার্যকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। উভয়পক্ষের ভিতরে টানহেঁচড়া হয়। ওই সময় উপ-রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলামের দাড়ি ধরে টান দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। একই সাথে পিছন থেকে গলা জাপটে ধরে ফেলে দেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগটি করা হয় সাবেক সমন্বয়ক ও রাকসুর জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তবে আম্মার বলেন, ওনার দাঁড়ি লম্বা হওয়ায় হাত লেগে যায়। এর বেশি কিছু না। আম্মার বলেন স্যার তার গলা চেপে ধরে। এরপর এই ঘটনা ঘটে। বিষয় হচ্ছে ওনার পাঞ্জাবি ধরেছি। কিন্তু দাঁড়ি ধরে টানাটানি করি নাই।

এ জন্য আম্মার ক্ষমাও চান। এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, তার সাথে শিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই।

উপ-রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলামকে কল করলে তার বড় মেয়ে রিসিভ করেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে আব্বুকে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। বুকে ও পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। আব্বুর পুরো শরীর ব্যথা। তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন ঘুমাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আব্বুকে কয়েকবার দাঁড়ি ধরে টান দেওয়া হয় ও গলা জাপটে ধরে ফেলে দেওয়া হয়। এতে আব্বু প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হোন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন