

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অন্যের নাম, পরিচয় ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তথ্য পাঠাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হয়ে যবিপ্রবির উপ-রেজিস্ট্রার তহিদুল ইসলাম যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। জিডির তথ্যমতে, তথ্য পাঠানোর সময় ডিন আমজাদ হোসেন উপ-রেজিস্ট্রার তহিদুল ইসলামের নাম, অফিসের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। তথ্য বুকিংয়ের সময় ব্যবহৃত নম্বরে পরপর তিনটি এসএমএস আসলে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয় তহিদুল ইসলামের। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যশোর কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করলে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় অভিযুক্ত হিসেবে ডিন আমজাদ হোসেনকে শনাক্ত করেন কর্তৃপক্ষ।
জিডিতে তহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার নাম ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তথ্য পাঠানো তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় তিনি বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করেন। তবে পোস্ট করা ডকুমেন্টস পোস্ট অফিসের জিম্মায় থাকায় তাতে কী তথ্য ছিল, তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে তহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমার নাম ও নম্বর ব্যবহার করে তথ্য পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে আমজাদ স্যারকে দেখা গেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
তথ্য পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ড. মো. আমজাদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মন্তব্য করুন
