

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সাবেক শিক্ষার্থীদের একাধিক আপত্তি ও অসন্তোষের মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। এবারের সমাবর্তনে ৬০, ৬১ ও ৬২তম ব্যাচের মোট ৫ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবর্তন ঘিরে কয়েকদিন ধরেই নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দিনক্ষণ, অতিথি নির্বাচন ও সামগ্রিক আয়োজন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তবে এসব আপত্তি উপেক্ষা করেই প্রশাসন নির্ধারিত সময়েই সমাবর্তন সম্পন্ন করে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করা হয়।
দ্বাদশ সমাবর্তনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শোভাযাত্রা, স্বাগত বক্তব্য, ডিগ্রি প্রদান ও গ্রহণ, অতিথিদের বক্তব্য এবং সভাপতির ভাষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। দুপুর আড়াইটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সমাবর্তনের আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল টিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্বে রয়েছেন।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘সমাবর্তন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি শিক্ষার্থীদের অর্জনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রতিফলন।’ তিনি বলেন, শিক্ষা যেন শুধু চাকরিমুখী না হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজে লাগে—সে বিষয়ে স্নাতকদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা আমাদের গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি দায়বদ্ধ করেছে। সেই চেতনাকে সামনে রেখেই এই সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। এরপর বিভিন্ন সময়ে একাধিক সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৮ সালে সপ্তম সমাবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে একাদশ সমাবর্তনের পর এবছর দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলো।
মন্তব্য করুন
