

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে একটি গোপন মদ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। এসময় প্রায় ৩০ লিটার মদ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে চবির জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে গ্রীনহাউজের পাশ থেকে মদ উদ্ধার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন।
তিনি জানান, জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে গ্রীনহাউজের ব্রিজের উত্তরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন সুমন চাকমা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পরিচয় দিলেও ওই এলাকা অবৈধভাবে মদ তৈরির কাজে ব্যবহার করছিলেন। একটি ছোট ঘরে থাকলেও ঘরের পেছনের বারান্দায় গড়ে তুলেছিলেন মদের কারখানা। আশপাশে নিয়মিত বহিরাগত ব্যক্তিদের উপস্থিতি এবং কিছু শিক্ষার্থীর ঘনঘন যাতায়াত প্রশাসনের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। গোপন অনুসন্ধানের পর নিশ্চিত হয়ে রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রাত ১২টা ২০মিনিটে প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দল এবং কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘিরে ফেলেন স্থানটি। সুমন চাকমা ও তার সঙ্গে থাকা এক নারীকে আটক করা হয়। ঘরের পেছনে ছিল একটি বড় ড্রাম, সদ্য প্রস্তুত করা প্রায় ৩০ লিটার মদ, ৫ লিটারের একটি ডেক্সি এবং বোতলজাত মদ বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এছাড়া মদ তৈরির সরঞ্জাম, সাপ্লাইয়ের উপকরণ এবং বিক্রির হিসাব সংবলিত খাতা জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন চাকমা স্বীকার করেন যে, তার সঙ্গে থাকা নারী তার স্ত্রী নয়, এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে মদের ব্যবসার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গল থেকে বন্য শুকর, হরিণ ও মুরগি শিকার করে মাংসও বিক্রি করতেন। বেশ কিছু বহিরাগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়মিত তার কাছ থেকে মদ কিনতেন।
অভিযান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী হত্যা এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থানায় পাঠানো হয়েছে। রাত ৩টা ২৭ মিনিটে অভিযান শেষ হয়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এই বিষয়ের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যে ব্যক্তি যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন
