

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, অপরাধ জগতের আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, জামিনে মুক্ত হয়ে মামুন আবারও অপরাধচক্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর জেরে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের রনি নামের এক ব্যক্তি দুই শুটার—ফারুক ও রবিনকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যার দায়িত্ব দেন।
ডিবি জানায়, মামুন হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—ফারুক, রবিন, শামীম, রুবেল ও ইউসুফ।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলি, দুটি ম্যাগাজিন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম আরও জানান, হত্যার পর গ্রেপ্তাররা ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে তারা সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিলেন, এসময় নরসিংদী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে জানা গেছে, মামুনকে আদালতে হাজিরার দিনই হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা আগে থেকেই আদালত এলাকায় অবস্থান নেয়। মামুনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সংকেত পেলে ফারুক ও রবিন গুলি চালান।
পরে তারা বেড়িবাঁধ হয়ে রায়েরবাজারে গিয়ে অস্ত্রগুলো রনির নির্দেশে ইউসুফের কাছে রেখে আসে। এরপর রুবেলের মাধ্যমে ফারুক ও রবিনকে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়—প্রতিজন পান এক লাখ টাকা করে।
ডিবি কর্মকর্তার ভাষায়, “এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই মামুনকে হত্যা করা হয়।”
মন্তব্য করুন
