

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ সরকারের এক সিনিয়র সহকারী সচিব মর্যাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিজের বাবা-মায়ের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এক্ষেত্রে তিনি মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে ‘বাবা’ হিসেবে দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সত্যতা উন্মোচনে এবার ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার তদন্তের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
ঘটনাটি সরকারি কর্মকর্তার মো. কামাল হোসেনের। তিনি বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও পরবর্তীতে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ব্যবহার করে প্রশাসন ক্যাডারের চাকরি পান।
দুদক বলছে, অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা বানিয়েছেন মো. কামাল হোসেন। জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেমের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীবকে পিতা ও গর্ভধারিণী মা মোছা: হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে চাচী মো. সানোয়ারা খাতুনকে মা সাজিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত পিতামাতাকে সনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
অভিযুক্ত নাচোর উপজেলার ইউএনও মো. কামাল হোসেন এর আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসবেও কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
মন্তব্য করুন