সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা ও স্মৃতিচারণ

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা
expand
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা

মজলুম জননেতা ও গণতন্ত্রের পথিকৃত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) এক উন্মুক্ত আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

সোমবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি স্বপন কুমার সাহা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব মুনসুর রহমান শেখ।

সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন ব্রিটিশ আমলে অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। কৃষক আন্দোলনের নেতা হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু।

তিনি ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন, সেখানে বাঙালি তাকে ভাসানী নামে উপাধিতে ভূষিত করেন। তার পারিবারিক নাম ছিল আবদুল হামিদ খান।

১৯৩৪ সালে লাইন প্রথা আন্দোলনে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শাসক ও শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে অনুধাবন করেছিলেন যে, পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের উদ্দেশ্যে “আসসালামু আলাইকুম” বলে পরিচিতি লাভ করেন।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম, এবং দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদান পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি-জেএসপি’র চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ প্রমুখ।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন