মঙ্গলবার
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০২ পিএম
সুরভী আক্তার মাহফুজা-ফাইল ছবি
expand
সুরভী আক্তার মাহফুজা-ফাইল ছবি

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে বস্তাবন্দি এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম সুরভী আক্তার মাহফুজা (২১)। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী আশিক মোল্লা পলাতক রয়েছেন।

শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন তালুকদার সুরতহাল প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে মালিবাগ বকশিবাগ এলাকার ৪৩৯/এ নম্বর বাড়ির নিচ তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে লাশ রাখা ছিল এবং বস্তার মুখ বন্ধ ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরদেহের থুতনিতে, গলায়, বুক ও পিঠে লালচে জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এছাড়া ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কাটা দাগও রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।

নিহতের বড় ভাই হৃদয় খান জানান, তাদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর গ্রামে।

বাবার নাম নুরুল হক খান। ছয় বছর আগে সুরভীর বিয়ে হয় আশিক মোল্লার সঙ্গে। আশিক মোল্লা ঢাকার কেরানীগঞ্জে টেইলার্সে কাজ করত, সেখানে সুরভীও কাজ করত। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে, নাম মেহেদি হাসান, বয়স চার বছর।

হৃদয় খান জানান, দুই বছর আগে আশিক তার স্ত্রীকে মারধর করেছিল। তখন আশিক সংসার চালানো বন্ধ করবে বলে জানিয়েছিল, তবে পরবর্তীতে সুরভী আবার সংসার করতে রাজি হয়।

এরপর থেকেই সুরভীর বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। সোমবার দুপুরে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা। এরপর গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে মালিবাগের ওই বাসায় গিয়ে তারা বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পান।

তিনি আরও জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে আশিক মালিবাগের ওই বাসায় ভাড়া উঠেছিল। ভাড়া উঠার রাতে তাদের একমাত্র সন্তানকে দাদা-দাদীর কাছে পাঠানো হয়। পরে আশিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সুরভীকে হত্যা করে, বালিশ চাপা দিয়ে বা কোনো খাবারের মাধ্যমে হত্যা করার পর লাশ বস্তাবন্দি করে রেখে পালিয়ে যায়।

পরিবারটি এই ঘটনার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন