

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল’ (ওটেক্সা)-র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাপী পোশাক আমদানি ৫.৩০ শতাংশ কমেছে। তবে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির পরিমাণ ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের তুলনায় প্রতিযোগী দেশ চীনের রপ্তানি এই সময়ে ১৮.৩৬ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ভিয়েতনাম ও ভারতের রপ্তানি যথাক্রমে ৩২.৯৬ শতাংশ এবং ৩৪.১৩ শতাংশ বেড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি ১৯.৮২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, আর কম্বোডিয়ার রপ্তানি ১০.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের আমদানি ভলিউম ২৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে।
ইউনিট মূল্যের দিক থেকে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি মূল্য ১.৭১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চীন ও ভারতের ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৩৩.৮০ শতাংশ এবং ৪.৫৬ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৬.৬৪ শতাংশ ও ৭.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, আর কম্বোডিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৩৮.৩১ শতাংশ। বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য ৭.৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এমন একটি ইউনিট মূল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক গড় মূল্যের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, যখন আমরা নিকটতম প্রতিযোগী দেশ যেমন ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে তুলনা করি, দেখা যায় বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই উন্নতি রপ্তানির পরিমাণ না বাড়িয়েও মোট রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি মূল্য প্রায় সমান ছিল, কিন্তু ভিয়েতনামের রপ্তানি পরিমাণ চীনের অর্ধেকেরও কম ছিল। কারণ ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। তাই আমাদের কম দামের পণ্যের পরিবর্তে উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানির দিকে মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
