

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আলোচনায় থাকা শরীয়াভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের একীভূত করার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রথম ধাপে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি সব ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার (৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে। চিঠি পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
এর আগে আলোচিত ব্যাংকগুলোর এমডিদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের জন্য ডাকা হয় বুধবার দুপুরে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পৌঁছানোর পর ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়া হয়। পদত্যাগের বিষয়টি নিজ নিজ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পারেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি হুমায়ুন কবির এনপিবিকে বলেন, 'চিঠি ব্যাংকে গিয়েছে। এমডিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। গভর্নরের সঙ্গে সভা করার জন্য অপেক্ষা করছি।'
একইদিন বিকেল পৌনে পাঁচটায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'পাঁচ শরীয়াহ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়ে অস্থায়ী প্রশাসন বসানোর জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ব্যাংক রেজ্যুলেশন (মার্জার) বাস্তবায়ন শুরু হলো।'
গভর্নর আরও বলেন, 'প্রশাসক ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। এই ব্যাংক সরকারি মালিকানা হলেও চলবে বেসরকারিভাবে। এটা সরকারি ব্যাংক হবে না। কর্মীরা সরকারি হিসবে বিবেচিত হবেন না।'
কবে নাগাদ মার্জার শেষ হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর কোনো নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে বলেন, 'এটা এক বছরও লাগতে পারে দুই বছরও লাগতে পারে। কতটা সময় লাগবে তা বলতে পারছি না৷ যতটা সময় লাগবে ততটা দেয়া হবে।'
মন্তব্য করুন