

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজস্ব আদায় কম হওয়া, পূর্ব সরকারের ঋণ পরিশোধ এবং মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। সংকট মোকাবিলায় সরকার চলতি ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ১.৭৯ শতাংশ বেড়েছে, অথচ বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে। এর ফলে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ সামান্য দশমিক ০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি খাতের ঋণ মূলত পরিকল্পিত চলতি ব্যয় মেটাতে নেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় কম হলেও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ মন্দার কারণে কমেছে।
রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১,২৬০ কোটি টাকা, তবে আদায় হয়েছে ৫৪,৪২৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ ১১ শতাংশ ঘাটতি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় ছিল ৪৫,০০৫ কোটি টাকা।
সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ ঋণের বাজারও সংকুচিত। ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধি কম হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি মন্থর, যা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহকে আরও বাধাগ্রস্ত করছে।
দেশের মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ ২৩ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে বেসরকারি খাতে ১৭.৫ লাখ কোটি এবং সরকারি খাতে ৫.৫ লাখ কোটি টাকা। সরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধির ফলে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ সামান্য বেড়েছে, তবে উৎপাদন বা কর্মসংস্থানে এর প্রভাব সীমিত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিহ্নিত করেছে সরকারের ঋণ বৃদ্ধির তিনটি মূল কারণ:
সরকারের অর্থনৈতিক সংকট এতটাই প্রকট যে, মাঝে মাঝে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকার মাধ্যমে সাময়িক ঋণ নিতে হয়। তবে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা হচ্ছে। রাজস্ব ঘাটতি, ঋণ বোঝা এবং মূল্যস্ফীতি মিলিতভাবে সরকারের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
