

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এরজন্য প্রয়োজন স্থিতিশীলতা। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সহায়ক পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
এছাড়া দেশের বেসরকারিখাতের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক নীতিমালার সংষ্কার, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন ও অটোমেশন প্রবর্তন, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন, উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে ঋণ প্রাপ্তির পাশাপাশি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, শিল্পখাতে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর মিলনায়তনে ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব আহ্বান জানানো হয়। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ, প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতিবৃন্দ, প্রাক্তন সহ-সভাপতিবৃন্দ, প্রাক্তন পরিচালকবৃন্দ সহ সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ যোগদান করেন।
সাধারণ সভার সূচনা বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকট, শুল্ক হার বৃদ্ধি, সহায়ক রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতি, সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি, স্থবির বিনিয়োগ, দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি, আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশের অস্থিতিশীলতা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চলমান জ্বালানি সংকটের কারণে অর্থনীতি বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্ন্তবর্তকালীন সরকারের গৃহীত বেশকিছু পদক্ষেপের ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা পরিলক্ষিত হলেও, ব্যবসা পরিচালনায় সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে সুশাসন, রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা এবং যুগোপযোগী নীতিমালা ও বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই বলে, মনে করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
তিনি আরো জানান, বেসরকারিখাতের স্থিতিশীলতা আনয়ন এবং নীতি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে চলতি বছর জুড়ে ৩১টি খাত ভিত্তিক সেমিনার, নীতি সংলাপ, কর্মশালা ও ফোকাস গ্রুপ আলোচনার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেছে ঢাকা চেম্বার। তিনি আরো বলেন, নীতিনির্ধারক, গবেষক ও শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তার লক্ষ্যে প্রথমবারের মত ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক (ইপিআই)’-এর প্রবর্তন করেছে ডিসিসিআই, যা উৎপাদন ও সেবা খাতে ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিবর্তন পরিমাপ করবে।
তাসকিন বলেন,বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বার এবছর সংযুক্ত আরাব আমিরাত, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, তাইওয়ানে মোট ৭টি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ করেছে এবং ৬টি দেশি-বিদেশী সংস্থা ও বাণিজ্য সংগঠনের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এছাড়াও সামনের দিনগুলোতে দেশের বেসরকারিখাতের উন্নয়নে ঢাকা চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডিসিসিআই’র এ সাধারণ সভার মুক্ত আলোচনা পর্বে ঢাকা চেম্বার প্রাক্তন সভাপতি আফতাব উল ইসলাম, এফসিএ, প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, প্রাক্তন পরিচালক ও আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান ও আলহাজ্ব মোহাম্মদ সারফুদ্দিন এবং মেসার্স ব্রান্ড বাংলা’র সত্ত্বাধিকারী রাজু আহমেদ মামুন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত সাধারণ সভাটি সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী।
মন্তব্য করুন
