

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানাযায়, ঘটনাস্থলে ৪ জন মাদকাসক্ত যুবককে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে আটক করলেও, রহস্যজনকভাবে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১ জনকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার রায়ের বাশালিয়া এলাকা থেকে ৪ জন মাদক সেবনকারীকে হাতে নাতে ধরেও ঘটনাস্থলে ৩জনকে ছেড়ে দিয়ে মো. রিপন শেখ নামের ১ জনকে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে একটি মাদক মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চরবামনহাটা এলাকায় এসআই শরীফ হায়দার আলী ও এএসআই অন্তর কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মাদক সেবন অবস্থায় চারজনকে আটক করেন। পরে তিনজনকে বিভিন্ন তদবিরে ছেড়ে দেয়া হলেও শুক্কুর আলীর ছেলে রিপন শেখকে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয়া হয়। পরে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
এদিকে ৪ জনকে আটকের পর ৩ জনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া এবং মামলায় উল্লেখ করা মাদকের পরিমান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। থানা থেকে মাদক বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে চিত্রটা ভিন্ন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে মাদকসহ একজন আটক লিখে ভূঞাপুর থানার ফেসবুক পেইজে পোস্ট দেয়ার পর কড়া মন্তব্যের ঝড় উঠে।
প্রশ্ন উঠছে, হাতেনাতে ধরার পরও তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার কারণ কী? আইন কি সবার জন্য সমান নয়? কার নির্দেশে বা কিসের বিনিময়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?
অভিযোগের বিষয়ে এস আই শরীফ হায়দার আলী জানান, এক সঙ্গে তারা ৪ জন মাদক সেবনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। সে সময় তাদের মধ্যে একজনের কাছে মাদক পাওয়া যায়। যার কাছে মাদক পেয়েছি তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় এবং তার নামেই মামলা হয়। বাকি তিন জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুকে পোস্টকরার পর সাংবাদিক রশিদ শেখের মন্তব্য দেখারপর এস আই শরীফ কে জিজ্ঞেস করি। তখন জানতে পারি বাকি তিন জনের কাছে মাদক পাওয়া যায়নি বিধায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই, কোন তদবিরও চলবে না।
মন্তব্য করুন
