

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় করা মামলায় ঘাতক ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ।
ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এদিন আসামি পক্ষের কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী যুক্তি তুলে ধরেন।
তিনি শুনানিতে বলেন, “হাদি জুলাই আন্দোলনের বীর সৈনিক। ঢাকার একটি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রলীগের কাছে থেকে দীর্ঘদিন পরিকল্পনার পর ফয়সাল করিম মাসুদ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সরকার তাকে ধরতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।”
প্রসিকিউটর বলেন, “এ তিনজন তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। তারা একইসঙ্গে, একই ঘরে ছিলেন। এরপর বের হয়ে যান। এত বড় ঘটনা। হাদি বাঁচবে কি না জানি না। স্বাধীন, সার্বভৌম দেশকে ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।”
এরপর বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিদের কাছে জানতে চান, আসামিপক্ষের কোনও আইনজীবী আছেন কি না?
তখন তারা মাথা নাড়িয়ে ইশারায় বলেন, “তাদের পক্ষে কোনও আইনজীবী নেই। এরপর বিচারক জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে?”
তখন কাঠগড়ায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন আদালতকে বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ঘটনার ২/৩ দিন আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়। এরপর আর দেখা হয়নি। ঘটনার দিন কথা হয়। এরপর থেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।”
তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গেও থাকেন না। অনেক রাতে যেতেন আবার ভোরে চলে আসতেন। ঘটনার আগে থেকে হাদির সঙ্গেই ছিলেন। ঘটনার ২/৩ দিন আগে থেকে কথা হতো না। আমি ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না।”
এরপর ফয়সাল করিম মাসুদের বান্ধবী মারিয়া আক্তার বলেন, “তিনি আমার বন্ধু। ফেসবুকে পরিচয়। এসব বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। আর্থিক সমস্যার কারণে কিছু টাকা দেবে বলে জানান।
সাহেদা পারভীন আদালতকে বলেন, “আমার দুই বছরের একটা বাচ্চা আছে। আর যা তথ্য দেয়ার দিয়েছি। আর আমাদের হয়ে কেউ কথা বলবে বাবার বাড়িতে এমন কেউ নেই। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ আসে।”
গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন

