

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এবার মশাল জ্বালিয়ে সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা। সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর–দেবহাটা) আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার প্রতিবাদ এবং আলিমকে ধানের শীষে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে শহরতলীর বিনেরপোতা এলাকায় শতাধিক নেতা–কর্মী মশাল হাতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করেন তারা। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বিক্ষোভে বক্তব্য দেন লাবসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আতিয়ার রহমান, আবুল হাসান, ছাত্রদল নেতা আলামিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা তাজমিনুর রহমান টুটুল, ইসমাইল হোসেন নিরবসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
বক্তারা বলেন, দলের সংকটের সময়ে হামলা–মামলায় প্রথম পাশে দাঁড়িয়েছেন আলিম চেয়ারম্যান। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। টানা ১৯ বছর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতা, এই আসনে মনোনয়নের যোগ্যতাও তাঁরই সবচেয়ে বেশি।
তারা অভিযোগ করেন, বহিষ্কৃত একজন নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে উপেক্ষা করা হলে তা মেনে নেওয়া যায় না। আলিমের সমর্থকেরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মনোনয়ন না দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় আলিম সমর্থকেরা আমতলা মোড়ে সড়কের ওপর শুয়ে পড়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এরও আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিসিক মোড় থেকে শতাধিক নেতা–কর্মী মশাল মিছিল বের করেন এবং মিছিলটি শিল্পী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
টানা কয়েকদিনের মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভে উত্তাপ ছড়িয়েছে সাতক্ষীরার রাজনৈতিক অঙ্গনে। আলিম সমর্থকেরা ঢালাও অভিযোগ তুলে বলেন, ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে বহিষ্কৃত নেতার মনোনয়ন বহাল থাকল আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।
মন্তব্য করুন