রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত শকুন চক্ষু নিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে ছিল : চরমোনাই পীর

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম
expand
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়া পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ভারত ‘শকুন চক্ষু’ নিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তাঁর দাবি, সে সময় ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে কেন্দ্র করে ‘বড় ধরনের অস্থিরতা’ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় পটুয়াখালীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে জেলা মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মুজাহিদ সম্মেলন ও ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবুল হাসান বুখারী। সম্মেলনে জেলা-উপজেলার সহস্রাধিক অনুসারী অংশ নেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘ভারত শকুন চক্ষু নিয়ে আমাদের দেশের দিকে তাকিয়ে ছিল। সংখ্যালঘু ইস্যু তুলে বড় ধরনের গণ্ডগোল বাধানোর পাঁয়তারা করছিল। ভারত পৃথিবীতে প্রচার করতে চেয়েছিল বাংলাদেশে হিন্দুদের জান-মাল-ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা নেই। অথচ দেশে এসব ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি দাবি করেন, ‘আমরা তখন রাস্তায় নেমেছি সংখ্যালঘুদের জান-মাল–ইজ্জত ও উপাসনালয় রক্ষার জন্য-যাতে ভারত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেশকে অশান্ত করতে না পারে।’

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর রাস্তায় পুলিশের অস্তিত্ব ছিল না। তখন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরাই রাস্তা পাহারা দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।’

তাঁর ভাষায়, ‘তখনও মানুষের কান্না থামেনি। হাজার হাজার মায়ের কোল সন্তানহারা। শহীদ মীর মুগ্ধের ‘পানি লাগবে, পানি’ সেই আর্তনাদ আজও কানে বাজে।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছি। আর বিএনপি নেমেছিল চাঁদাবাজির জন্য, ঘাট–স্টেশন দখলের জন্য, মামলা বাণিজ্যের জন্য। নিজেদের আন্তঃকোন্দলে দুই শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে ওরা হিংস্র জানোয়ারের চেয়েও ভয়াবহ।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘হাজার মানুষকে বিএনপি মিথ্যা মামলায় আসামি করেছে। টাকা দিলে রক্ষা, না দিলে জেল।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘টিআইবির তদন্তে দেখা গেছে ১০০ এমপি-মন্ত্রীর মধ্যে ৯৭ জনই দুর্নীতিগ্রস্ত। আওয়ামী লীগ আমলে যে পরিমাণ টাকা লোপাট হয়েছে, তাতে বছরে দুইটি পদ্মা সেতু বানানো যেত।’

চরমোনাই পীর রেজাউল করীম বলেন,‘ইসলামী আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পরও আমরা সংসদে যাইনি। ক্ষমতার মজা আমরা বুঝি। কিন্তু আপোষ করিনি। আওয়ামী লীগ আমাদের বিরোধীদল তৈরি করতে চেয়েছিল। বিএনপিও নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এমপি-মন্ত্রী হওয়া ওয়ান-টুর ব্যাপার। কিন্তু আমরা রাজি হইনি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যারা দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানাতে পারে, সেই দলকে ইসলামী আন্দোলন সমর্থন করে না।’

রাত সাড়ে ১০টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মুজাহিদ সম্মেলন শেষ হয়। এর আগে পটুয়াখালীর ৪টি সংসদীয় আসনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন