

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পটুয়াখালীর লোহালিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মফিজুল (৩৮) ২০ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। মফিজুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছিল ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ার কারণে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ) নিশ্চিত করেছেন।
মফিজুল লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে পালপাড়া বাজার এলাকায় মফিজুলকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রতিপক্ষ সোহাগ মাঝি ও তার সহযোগীরা।
হামলার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হন।
আহতদের মধ্যে ছিলেন এএসআই জহির, এসআই আবদুর রহমান, কনস্টেবল মহিবুল্লাহ, রানা ও সাইফুল ইসলাম। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মফিজুলকে প্রথমে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২০ দিন আইসিইউতে থাকার পর মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। বিকেলে মরদেহ বাড়িতে আনা হলে পরিবারে শোকের মাতম চলে।
নিহতের স্ত্রী রাবেয়া বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় ওরা তাকে হত্যা করেছে। আমার দুই মেয়ে এখন কাকে বাবা বলবে?
অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে এবং স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে সামনে রেখে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
