

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থানীয় হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা দুজনকে উদ্ধার করে।
আহতরা হলেন, হেলাল উদ্দিন, ইমতিয়াজ, ফরিদ উদ্দিন, ওমর ফারুক, কোহিনুর বেগম, উম্মে কুলসুম, নাজিম উদ্দিন, মারজান উদ্দিন, সাইফুজ্জামান, শাহাবউদ্দিন ও মহিমা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়েতে পাশের গ্রামের একজন হুজুরকে দাওয়াত না দিয়ে অন্য এলাকার হুজুরকে ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেলাল মাঝি ও কামাল পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে গ্রামবাসীরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, এতে ১১ জন আহত হন।
আহত শাহাবউদ্দিন, যিনি স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, বলেন, আমাদের পারিবারিক শিক্ষককে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। এতে হেলাল মাঝি ক্ষুব্ধ হয়ে বাধা দেয়। পরে সবাইকে বোঝিয়ে বিয়ের কাজ শেষ করি। কিন্তু রবিবার পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে আহত হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, আমি মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে বিয়েতে স্থানীয় হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে শাহাবউদ্দিন ক্ষেপে গিয়ে আমাকে হুমকি দেয়। আজ সমাধানের বৈঠকে তারাই প্রথমে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল আবেদীন বলেন, সংঘর্ষের পর শাহাবউদ্দিন ও মারজান নামের দুইজনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার জন্য থানায় আনা হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    