

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে যুবদল নেতারা হামলা চালায়।
ওই ঘটনার জেরে রবিবার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর প্রতিবাদে বিকেলে শিবির পক্ষ থেকে মসজিদে “দারসুল কোরআন” কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আছরের নামাজ শেষে কর্মসূচি শুরু হলে বাইরে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন।
ঘটনার পর দেখা যায়, শিবিরের কর্মীরা মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন এবং বাইরে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করলেও প্রথম দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল সীমিত।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় কর্মসূচি করছিলাম, হঠাৎ বিএনপির কর্মীরা এসে হামলা চালায়। অনেক ভাই আহত হয়ে মসজিদেই পড়ে আছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি।”
অন্যদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করে বলেন, “নামাজ শেষে আমরা বাইরে বের হওয়ার পর মসজিদের ভেতর থেকে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেকে আহত হয়েছেন।”
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    