বৃহস্পতিবার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় সুমনকে

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে সুমন খলিফাকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে।
expand
স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে সুমন খলিফাকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে।

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে সুমন খলিফাকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত সাত জনের মধ্যে নিহতের স্ত্রী’সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফ (৪২) ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে, বিল্লাল হোসেন (৫৮) মৃত বাদশার ছেলে, আব্দুর রহমান (২৮) চর কাশিপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে, আলমগীর হাওলাদার (৪৫) সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি এলাকার আব্দুল হাই হাওলাদারের ছেলে, নান্নু মিয়া (৫৫) মৃত দিদার বক্সের ছেলে ও নিহত সুমনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২)।

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কাশীপুর মধ্য নরসিংপুর নিহত সুমন খলিফার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন নিহতের পিতা মো. মিন্টু খলিফা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, নিহতের স্ত্রী সোনিয়া একজন বাউল শিল্পী। সে সুবাদে গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফের সাথে পরিচয় এবং পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি জানার পর এতে বাধা দেন নিহত সুমন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউসুফ, সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ৩০ নভেম্বর রাতে ফতুল্লার পঞ্চবটি মেথরখোলার একটি ক্লাবে গান করতে স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে আসেন নিহত সুমন। সে সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী, টাকা ধার দেয়ার কথা বলে ইউসুফ তাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং সিএনজি করে উত্তর চরকাশীপুর নরসিংপুর নিয়ে হত্যা করে।

আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ইউসুফ জানিয়েছে, নরসিংপুর নেয়ার পর গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান সুইচগিয়ার দিয়ে সুমনের মাথায় ও শরীরে এলোপাথারি আঘাত করে। এ সময় সুমন দৌড়ে পালানেরা চেষ্টা করলে ইউসুফ ও বিল্লাল হোসেন সুমনকে ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং পলাতক মামুন চাপাতি দিয়ে সুমনের গলায় একাধিক আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করেন।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের সাথে জরিত মেহেদী হাসান ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং তার তথ্যমতে, এ হত্যাকান্ডে মোট ৭ জন সম্পৃক্ত ছিল বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। যার মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নিহতের স্ত্রী সোনিয়া হত্যার পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত কিনা তা আমরা এখনো নিশ্চিত না। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X