

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকায় পদ্মার শাখা নদীর ওপর সেতু না থাকায় প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তিন জেলার হাজারও মানুষকে।
প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতুর অভাবে দিঘীরপাড় বাজার ও দিঘীরপাড় চরসহ শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের সীমান্তঘেঁষা বেশ কয়েকটি এলাকা বহু বছর ধরে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
দিঘীরপাড় বাজারের পূর্বদিকে বয়ে যাওয়া শাখা পদ্মা দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে থমকে দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর থেকে প্রতিদিনই মানুষ পণ্য বিক্রি, বাজার, চিকিৎসা ও ঢাকামুখী যাত্রায় এই পথ ব্যবহার করেন। কিন্তু নদী পার হতে একমাত্র ভরসা একটি ট্রলার সার্ভিস।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। ট্রলার এলে দ্রুত ওঠার প্রতিযোগিতা, না এলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এটাই যাত্রীদের প্রতিদিনের চিত্র। বিশেষ করে রাত হলে ভোগান্তি আরও বাড়ে। ঘাটে ট্রলার থাকেনা, জরুরি প্রয়োজনে ভাড়া বেড়ে যায় তিন–চারগুণ। মোটরসাইকেল পারাপারে ১০০ থেকে ২০০ টাকাও গুনতে হয়।
দিঘীরপাড় হাট-বাজারে গেলেই বোঝা যায় যোগাযোগ সংকট কতটা গভীর। কৃষিপণ্য আনা–নেওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল–কলেজে যাতায়াত, চিকিৎসাসেবা সবই নির্ভর করে নদী পারাপারের ওপর। এলাকার মানুষ মনে করেন, একটি সেতু হলে পুরো অঞ্চলের উন্নয়ন কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে।
শরীয়তপুরের কাঁচিকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইয়াসিন বেপারী বলেন, “রাতে ট্রলার পাওয়া দুষ্কর। পেলেও ভাড়া কয়েকগুণ দিতে হয়। মাত্র ৫০০ মিটার সেতু হলে আমাদের জীবনে এত কষ্ট থাকত না।”
এলাকাবাসীর দাবি, সেতুটি নির্মাণ হলে তিন জেলার অন্তত বিশাধিক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। কৃষি, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা বাড়বে, বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ্ মোয়াজ্জেম জানান, দিঘীরপাড় এলাকায় সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া কয়েক বছর ধরেই এগোচ্ছে। বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল পরিবেশগত মূল্যায়নসহ বিভিন্ন জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রকল্পটি এলজিইডিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং চূড়ান্ত অনুমোদন মিললেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
