

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শুক্রবার নারীর অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ ও মৌন মিছিলের মাধ্যমে বিএনপির নারী নেত্রীরা সমস্বরে স্লোগান দেন—‘পাঁচ নয় আট, তুমি বলবার কে?’।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীনেত্রী ও সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, দেশে নারীরা ক্রমেই সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছেন।
নারীর কর্মপরিসরে উপস্থিতি নিশ্চিত করার পরিবর্তে কর্মঘণ্টা কমিয়ে তাদের ঘরে রাখার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে তারা বলছেন, কর্মপরিসরে নারীর উপস্থিতি না থাকা বা ঘরে থাকার সিদ্ধান্ত একান্তই নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়।
‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অসম্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন নারী সমাজ’ শীর্ষক কর্মসূচি আয়োজন করেছে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। অংশগ্রহণকারীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে নারী নিপীড়ন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “দেশে কিছু রাজনৈতিক মহল ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে নারীদের অধিকার হরণ করছে। নারীরা যেন ঘরে সীমাবদ্ধ থাকে, এটাই তাদের লক্ষ্য। কর্মঘণ্টা কমানো হলে নারীর কর্মসংস্থানও কমে যাবে।”
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নারীরা কিছুটা অধিকার ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আবারও নারীরা সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে সীমিত হয়ে পড়ছেন। অধিকার আদায়ে নারীদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং সমস্বরে আওয়াজ দিতে হবে।”
কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন ফোরামের সদস্যসচিব নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, “নারীর অধিকার হরণ করলে নারী সমাজ জেগে উঠবে এবং প্রতিবাদ জানাবে।”
পিএসসি সদস্য চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস মন্তব্য করেন, “নারী কর্মপরিসরে কাজ করবে বা ঘরে থাকবে—এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নারীর অধিকার হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। নারীদের স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান বলেন, “পুরুষ আমাদের সহযোদ্ধা, শত্রু নয়। নারীর পাশাপাশি যারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোও আমাদের দায়িত্ব। প্রকৃত উন্নয়ন হলো সেই উন্নয়ন, যেখানে নারী রাতের বেলায়ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন।”
‘মায়ের ডাক’ সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে পরিবর্তন দেখা গেলেও এখন নারীদের সামাজিক অবস্থার কারণে কর্মঘণ্টা কমিয়ে পাঁচ ঘণ্টা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
কর্মসূচিতে ডাকসুর গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সানজিদা আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, নিলুফা চৌধুরী, শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম এবং সহসভাপতি রেহানা আক্তারও বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন
