সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন দেওয়ায় জনগণকে সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিন; জনগণের মতামতই হবে সরকারের ভিত্তি।”

তিনি বলেন, আগামী ২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা আছে।

সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২৪ সালে। সংবিধানের অনেক ধারা এবং অনুচ্ছেদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন, সেটিও সংবিধানে নেই।

বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই। সুপ্রিম কোর্টের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, কিন্তু সেই রেফারেন্স কখনও ক্ষমতা গ্রহণের বৈধ ভিত্তি হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধানে নেই। নির্বাচনের মেয়াদ সংবিধানে নেই। প্রধান উপদেষ্টাও সংবিধানে নেই। সুতরাং জুলাই সনদই একমাত্র সংবিধানের অংশ হতে পারে এবং এর মাধ্যমে সকল বিষয়কে আইনি ভিত্তি দেওয়া সম্ভব।”

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা-৩ আসনের দৌলতপুর থানাধীন শহীদ মিনার চত্বরে দৌলতপুর থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

দৌলতপুর থানা জামায়াতের আমীর মু. মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। প্রধান বক্তৃতা পরিচালনা করেন মহানগরী ব্যবসায়ী থানার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান স্বপন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আজম হাদী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মহানগরী যুববিভাগের সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, কাউন্সিলর প্রার্থী হুমায়ুন কবীর, ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বিএল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, মতিয়ার রহমান ও মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।