

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এলাকায় ছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ায় পুরো ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত সোয়া ৯টার দিকে ক্যাম্পাস এলাকায় চার গাড়ি সেনাসদস্যসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, ডিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রথম দুই ঘণ্টা সংঘাত চলমান থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে সাড়া দেয়নি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসে এবং উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার বিকল মোবাইল ফোনটি পাশের আমবটতলা বাজারের এক দোকানে মেরামতের জন্য দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোনটি আনতে গেলে দোকানি তার সঙ্গে ‘খারাপ আচরণ’ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে যবিপ্রবির কয়েকজন শিক্ষার্থী দোকানে গিয়ে তাকে মারধর করেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদে নামেন। পরে মাইকিং করে আশপাশের ইসলামপুর, শ্যামনগর ও সাজিয়ালি—এই তিন গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলে এসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ দেয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। উভয় পক্ষই লাঠিসোটা হাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সংঘর্ষ ও ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার কারণে যশোর–চৌগাছা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত সোয়া ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবি প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। অপরদিকে এলাকাবাসী আমবটতলা বাজার প্রান্তে প্রতিবন্ধক স্থাপন করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা রাশেদ খান জানান, সংঘর্ষে কমপক্ষে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি
রাত সোয়া ৯টার দিকে চার গাড়ি সেনাসদস্য এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেন।
রাশেদ খান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন