

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি মনে করি বাউলদের উপর হামলা এটি একটি নেককারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটা ডেফিনেটলি বাংলাদেশের আবহমানের যে সংস্কৃতি গ্রাম বাংলা সংস্কৃতি। আমাদের বাউল যারা তারা বাংলাদেশের মাঠে ঘাটে প্রান্তরে বাউল গান গেয়ে বেড়ায়। তাদের উপর হামলা এটি একটি উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা বলে আমি মনে করি। এবং এটা সঠিক নয়। এ ধরনের হিংসা, প্রতি-হিংসার পথ বেছে নেওয়া কারো জন্যই শোভনীয় নয়। আমরা অবশ্যই এটার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি এবং নিরসন দাবি করি।
কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক বস্তি আছে। তার মধ্যে কড়াইল বস্তি সবচেয়ে বড় বস্তি। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে। এবং সব দরিদ্র নিঃস্ব মানুষ। আমার বাসায় যে মহিলা রান্না করে তারও বাসা সেখানে। এবং তার বাড়িটিও পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
তিনি আরোও বলেন, এটা এই দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য একটি চরম আঘাত। আমি সরকারের কাছে দাবি করব। সরকার যেন এদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন। এবং সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের জন্য প্রকৃত ঘটনাকে বের করে যদি প্রকৃতপক্ষে কেউ দায়ী হয়ে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমি দাবী জানাচ্ছি।
আগুনের ঘটনা ষড়যন্ত্র কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমি যেটা মনে করি আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বে থাকেন । বিশেষ করে গার্মেন্টস অথবা ফ্যাক্টরি, কারখানাগুলোতে তাদের কিছুটা নিকলিয়ানসি এবং অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার প্রতিরোধ প্রতিরোধতা ও আইন না মেনে চলা। এসব কিছু মিলিয়ে এই অগ্নিকাণ্ডগুলো ঘটে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় সত্যিকার অর্থেই যদি। আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থাকে তাহলে এগুলোকে অ্যাভয়েড করা অনেক সহজ।
তিনি আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির নতুন কার্যালয় উদ্বোধন শেষে এসব মন্তব্য করে। এসময় জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানে (৪ আগষ্টে) দুর্বৃত্তরা জেলা বিএনপির কার্যালয়টি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন