ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচটি বাজারের ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজারের বাঁশবাজারের লিজ বাতিল, আটক ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম খোকনের মুক্তি এবং হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু করেছেন শহরের পাঁচটি বাজারের ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিউ মার্কেট, আনন্দবাজার, সড়কবাজার, লাখীবাজার ও টানবাজারের সহস্রাধিক ব্যবসায়ী তাদের দোকানপাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আনন্দবাজার এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, আনন্দবাজারের মাছ ও শুঁটকি মহলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসানাত ভজন, সড়কবাজারের ব্যবসায়ী মোখলেছ আহমেদসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী নেতা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা বাঁশবাজার এলাকায় পণ্য ওঠানামার সুবিধার জন্য একটি ট্রাক টার্মিনালের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রশাসন সেই দাবি উপেক্ষা করে সম্প্রতি গোপনে ৩৩ জন ব্যক্তির নামে জায়গাটি লিজ দিয়েছে, অথচ লিজগ্রহীতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

তাদের অভিযোগ, এই লিজ প্রক্রিয়ার আড়ালে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন। টাকার হিসাব গোপন রাখতেই তালবাহানা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সড়কবাজারের ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম খোকনকে নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।

অন্যদিকে, জেলার প্রধান পাঁচটি বাজার বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা পণ্য না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাঁশবাজারের লিজ বাতিল ও আটক নেতার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের ধর্মঘট চলবে।