

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বরগুনার বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মহাসিন কাজী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির রায়ে দণ্ডিত আসামি মহাসিন কাজী বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের জেলা দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মক্তবে যাওয়ার পথে ভিকটিমকে একা পেয়ে মহাসিন কাজী তাকে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গলায় চাকু ধরে খালের পাশে ঝোপের মধ্যে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর ভিকটিম তার মাকে জানালে, মা বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিমের বড়বোন বলেন, এরকম একটি অপকর্মের ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমরা খুশি হয়েছি। ভিকটিমের মা ও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অভিযুক্ত মহসিনের মা বিউটি বেগম বলেন, বাদী পক্ষের লোকজন মিমাংসা করাতে টাকা-পয়সা চেয়েছিল আমি শাক সবজি বিক্রি করে খাই। তাদের চাহিদা মতন টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। আমি গরীব মানুষ আপীল করবো সেই সমর্থও নেই।
নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু বলেন, মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একজন শিশুকে মক্তবে যাওয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা একটা গর্হিত অপরাধ। আদালতে আমি অপরাধীর এই অপকর্ম রাষ্ট্রে পক্ষে প্রমাণ করাতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন
