

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিএনপিতে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে বড় ধরনের অস্থিরতা। মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র চারজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (২৫ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁদের পদত্যাগপত্র প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন,সখিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ বাছেদ মাষ্টার, সহ সভাপতি আঃ মান্নান,গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ ওবহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ লতিফ মিয়া।
পদত্যাগপত্রে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, স্থানীয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ, রাজনৈতিক হয়রানি এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বাধার মুখে পড়ার কারণে তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
প্রকাশিত চিঠিতে দেখা যায়, নেতার একক প্রভাব ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় ওই নেতার কিছু কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই নেতারা উল্লেখ করেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধা ও দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবেও তাঁদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা কমে গেছে।
এতে তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রশ্নের মুখে পড়ে এবং অপমানজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এসব কারণে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া তাদের আর উপায় ছিল না বলে দাবি করেছেন তারা।
পদত্যাগের চিঠিতে তারিখ ভিন্ন হলেও চারজন নেতার বক্তব্য ও অভিযোগ প্রায় একই। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের জন্য কাজ করতে গেলে নানা বাধা এসে দাঁড়ায় এবং ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তাহীনতাও অনুভব করেন।
ফেসবুক প্রোফাইলে পদত্যাগপত্র পোস্ট করার পরই সখীপুরজুড়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ চারজন নেতার একসঙ্গে সরে দাঁড়ানোতে উপজেলা কমিটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, সখীপুরে বিএনপির রাজনীতিতে এটি বড় ধরনের ধাক্কা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড় চারটি পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় দল সংগঠিতভাবে বিপাকে পড়তে পারে।
এদিকে এখনো উপজেলা বা জেলা বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন