

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে একজন ব্রাদারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ এর প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও ব্রাদারেরা দুইঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।
জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ ব্রাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি বেলা তিনটার দিকে জরুরি বিভাগের একটি টেবিলে একজন রোগীর ড্রেসিং করছিলেন। তখন সাব্বির আহমদ নামের এক যুবক বাইরে থেকে আরেকজন রোগী নিয়ে গিয়ে টেবিল খালি করতে বলেন। জাহাঙ্গীর কাজ করছেন জানালে সাব্বির দ্রুত কাজ শেষ করে তাকে টেবিল দিতে বলে সেখান থেকে চলে যান। মিনিট পাঁচেক পর সাব্বির আবার এসে তাকে কাজ করতে দেখে ক্ষুব্দ হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। জাহাঙ্গীর প্রতিবাদ করলে তাঁকে ঝাপটে ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন সাব্বির। পরে অন্য সহকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা জানান, সাব্বির হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী হাছননগর এলাকার বাসিন্দা। তিনিসহ আর কয়েকজন যুবক এখানে দালালি করেন। বাইরে থেকে রোগী নিয়ে এসে তারা নিজেরাই কখনো ড্রেসিং বা প্রথমিক চিকিৎসা করিয়ে টাকা নেন। এদের কাছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা জিম্মি হয়ে আছেন। কোনো কিছু বললেই বাইরে গেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত সোমবারও হাসপাতালের প্যথলজি বিভাগে একজন ওয়ার্ডবয়কে মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মীর এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।
রোববারের দুপুরের ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের নার্সেরা কর্মবিরতি শুরু করলে বিকাল পাঁচটার দিকে হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তাঁদের সঙ্গে আলোচনা ও অনুরোধ করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করান।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব অন্যায় মেনে নেওয়া যায়না।
এর আগে গত সোমবার হাসপাতালের এক্সরে কক্ষে আগে সিরিয়াল ভেঙে এক্সরে করে না দেওয়ায় একই এলাকার বাসিন্দা আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ (৩৩) ও শিমুলকে (২৮) সেখানে এক ওয়ার্ডবয়কে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় পরে ওয়ার্ডবয় পিয়াল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন