

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজবাড়ীর পাংশা ও নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে একই দিনে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন দুই বিবাহিতা নারী—মোছা: মিম খাতুন (২৫) এবং মোছা: স্মৃতি (২৬)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্র ধরে দু’জন একই সময়ে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। নিখোঁজ হওয়ার সময় মিমের ৪ বছরের কন্যা এবং স্মৃতির ৭ বছরের ছেলে সন্তানও সঙ্গে ছিল।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবননালা গ্রামের লিটন মৃধার মেয়ে মিম এবং নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতির। প্রথমে সাধারণ আলাপ হলেও ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্মৃতি একাধিকবার মিমের বাড়িতে যাতায়াতও করেন। সাম্প্রতিক সময়ে দু’জন প্রায় প্রতিদিনই ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলতেন।
মিমের স্বামী দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তিনি বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, এই সময়েই মেয়ের আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দেয়।
মিমের মা নাজমা বেগম বলেন, মেয়ে প্রতিদিন অনেকক্ষণ মোবাইলে কথা বলত। জানতে চাইলে বলত জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলছি। পরে সন্দেহ হলে গোপনে শোনার চেষ্টা করি।
পরিবার জানায়, ৮ নভেম্বর মিম স্বামীর পাওনা ১ লাখ ৮ হাজার টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। পরদিন ৯ নভেম্বর ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। একই সময় স্মৃতিও নোয়াখালীর নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। দুজনের মোবাইল ফোনও তখন থেকেই বন্ধ।
মিমের বাবা লিটন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, আমরা থানায় জিডি করতে গেলে পাংশা থানা জিডি নেয়নি। প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না।
তবে পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্তাধীন। তিনি বলেন, “মিম ও স্মৃতির মধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং তাদের যাতায়াতও ছিল। মিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।”
দুই নারী একই দিনে নিখোঁজ হওয়ায় এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তাদের সম্পর্কের গভীরতা, একই সময়ে নিখোঁজ হওয়া এবং দুই শিশুসহ উধাও হয়ে যাওয়া ঘটনাটিকে আরও রহস্যজনক করে তুলেছে।
এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবার দ্রুত দুই নারী ও দুই শিশুকে উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি সহায়তা কামনা করেছে।
মন্তব্য করুন