

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূড়িয়া ইউনিয়নের ভায়লা গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে কাঁচা ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ঘটনাটি নিয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি পুলিশ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— মৃত রশিদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হাওলাদার (৩০), আবু জাফর হাওলাদার (৪০), আনিচ হাওলাদার (৩৫), শোমেরতো ভানু (৬০), নাজমা বেগম (২৫) ও লিপি বেগম (৩০)।
অপর পক্ষের আহতরা হলেন— সোবহান হাওলাদার (৬৫), রিয়াজ হাওলাদার (৩৬), আক্তার হাওলাদার (২৬), আব্বাস হাওলাদার (৩৩), নুপুর বেগম (৩৫), চানভানু (৫৫), সাথী (৩০), নারগিস (৩৫) ও মরিয়ম (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ দশমিক ৪৪ একর কৃষিজ জমিকে কেন্দ্র করে আবু জাফর হাওলাদার ও মো. সোবহান হাওলাদারের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়েছে। জমিতে চাষাবাদ করেন আবু জাফর। শুক্রবার সকালে সোবহান হাওলাদারের লোকজন কাঁচা ধান কাটতে গেলে জাফরপক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আহত আবু জাফর হাওলাদার বলেন, “জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কয়েকবার থানায় সালিশও হয়েছে। কিন্তু সোবহান হাওলাদার বিচার মানে না। তারা কাঁচা ধান কেটে নিতে এলে পুলিশে জানাই। পুলিশ বাধা দিতে বলে। আমরা বাধা দিলে তারা প্রথমে আমার মাকে কোপ দেয়, পরে আমাদেরও মারে।”
লিপি বেগম বলেন, “আমি বেড়াতে এসেছিলাম। মামারা গিয়ে শুধু বলেছিল ধান না কাটতে। সালিশে রায় পেলে তারপর কাটবেন। কিন্তু তারা না শুনে এসে কোপাতে থাকে।”
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সোবহান হাওলাদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভূড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নুরুল হক শিকদার বলেন, “সকালে জাফর আমাকে ফোন দেয়। বলে সোবহান হাওলাদাররা ধান কাটছে। আমি তাদের কল করি, কিন্তু তারা শোনেনি। পরে গিয়ে দেখি দুই পক্ষের মারামারি হয়ে গেছে। জমিতে চাষ করেছে জাফর।”
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালে পুলিশ গিয়ে দুইপক্ষের আহতদের দেখে আসছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
মন্তব্য করুন