

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লালমনিরহাটে অস্বাভাবিক ও অসময়ের বৃষ্টিতে এ বছর ধনিয়া পাতার উৎপাদনে বড় ধরণের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ফলন কম হওয়ায় বাজারে ধনিয়ার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-১২০ টাকায়, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি।
বাজারে ধনিয়ার প্রচুর চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কমে যাওয়ায় ভোক্তাদের ওপর চাপ বেড়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক জমির ধনিয়া গাছ নষ্ট হয়েছে। বেঁচে থাকা গাছগুলোর ফলনও অর্ধেকে নেমে এসেছে।
গত বছর যেখানে এক শতাংশ জমিতে ৪০-৪৫ কেজি ধনিয়া পাওয়া যেত, সেখানে এবার মিলছে মাত্র ২০-২২ কেজি। প্রতি শতাংশ জমি চাষে খরচ পড়ছে ৩০০-৪০০ টাকা।
আদিতমারীর কমলাবাড়ি গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর ৪ একর জমিতে ধনিয়া চাষ করেছেন।গত বছর প্রতি শতাংশে ৪৫ কেজি পেলেও এবার পেয়েছি ২৩ কেজি।
ফলন কম হলেও বাজারদর বেশি হওয়ায় আগের বছরের চেয়ে বেশি লাভ হচ্ছে, বলেন তিনি। গত বছর প্রতিকেজি ধনিয়া বিক্রি করেছিলেন ২০-২৫ টাকায়, এবার বিক্রি করছেন ৯০-১২০ টাকায়।
কালীগঞ্জের কাকিনা এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান জানান, ১০ শতাংশ জমিতে ধনিয়া চাষে খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
এর মধ্যে সাড়ে তিন শতাংশ জমির গাছ নষ্ট হলেও বাকির ফলন বিক্রি করে তিনি ইতোমধ্যেই পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। তিনি বলেন,যেটুকু পেয়েছি তাতেই ভালো দাম মিলছে।
হাতীবান্ধা কাজির বাজার এলাকায় আনোয়ার হোসেন বলেন,আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ধনিয়া কিনছি ৯০-১০০ টাকায়, বিক্রি করছি ১২০-১৪০ টাকায়।
দুই সপ্তাহ আগে কেজি ছিল ২০০ টাকা পর্যন্ত। ধীরে ধীরে দাম কিছুটা কমছে। আশা করা হচ্ছে, এক সপ্তাহ পর দাম ৪০-৫০ টাকায় নেমে আসতে পারে।
ক্রেতারা বলছেন, ধনিয়া পাতা তো বটেই, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই বর্তমানে বেশি।
স্কুল শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান,শীতকালে ধনিয়া ছাড়া রান্নাই হয় না। কিন্তু দাম এত বেশি যে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক কিনতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে সব ধরনের শাকসবজির উৎপাদন কমেছে।
আলু ছাড়া প্রায় সব সবজির দামই এখন বেশি, ফলে ধনিয়া পাতার বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন