

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নড়াইলে রাস্তার দুই পাশে, ফসলের মাঠে কিংবা বাড়ির আঙিনায় যেখানেই খেজুর গাছ আছে সেখানে চলছে পরিচর্যা। খেজুর গাছের রস সংগ্রহে সু-নিপুণ হাতে খেজুর গাছ পরিচর্যা করছেন গাছিরা। গাছিদের আশা কয়েক সপ্তাহের মধ্য রস সংগ্রহ করে তৈরি করবেন খেজুরের গুড়। যে গুড় পৌঁছে যাবে জেলার গণ্ডি পার হয়ে দেশে বিদেশে। গ্রামের ঘরে ঘরে ধুম পড়বে খেজুর গুড়ের সাথে বাহারি পিঠার স্বাদ। শীত যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে গাছিদের এ ব্যস্ততা।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২৩ হাজার ৫৫০টি খেজুর গাছ রয়েছে। যা থেকে ৩৫৪ মে.টন খেজুর রস সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যে রস থেকে ৫৩ মে.টন গুড় উৎপাদন হবে।
গাছি কবীর মোল্যা বলেন, শীতের শুরুতে আমরা খেজুর গাছগুলোর মাথা পরিষ্কার করছি। এক সপ্তাহ পর থেকে গাছে টিলে পাতা হবে। রস থেকে আমি গুড় তৈরি করি। প্রতি কেজি গুড় ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হবে। আশা করছি এ বছর রস ও গুড় বিক্রি করে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, নড়াইলে খেজুর রস ও গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জেলায় যে পরিমাণ রস ও গুড়ের চাহিদা আছে সেই পরিমাণে রস ও গুড় উৎপাদন হয় না৷ কাঁচা রস কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে গাছ তলায় ভিড় করেন ক্রেতারা।
শেখহাটি গ্রামের আরেক গাছি শফিকুল ইসলাম বলেন, খেজুর গুড় ও রসের চাহিদা রয়েছে। তুলারামপুর, শেখহাটি, বেনহাটি, মুলিয়া, আগদিয়া থেকে লোক এসে গাছ তলা থেকে রস কিনে নিয়ে যায়৷ এখানে যে পরিমাণ রসের চাহিদা আছে সেই পরিমাণ রস হয় না। কারন খেজুর গাছ কম। প্রতি বছর কমে যাচ্ছে খেজুর গাছ। এতে খেজুর গাছের রস ও গুড় উৎপাদন কমে গেছে। এখনই নতুন করে গাছ লাগানোর উদ্যোগ না নিলে হারিয়ে যেতে পারে নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস ও গুড়।
দেবভোগ গ্রামের পরিমল বিশ্বাস বলেন, রাস্তার দুই পাশে লাগানো খেজুর গাছ প্রতি বছর কাটা হচ্ছে। বিশেষ করে ইট ভাটা মালিকরা এই গাছ কিনে নেন। এইভাবে যদি খেজুর গাছ কাটা হয় তাহলে দিন দিন নড়াইল থেকে খেজুর বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত রস সংগ্রহে উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষি বিভাগ। প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিরাপদ রস সংগ্রহে গাছিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন