শুক্রবার
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছয় লেন প্রকল্পে গতি ফেরাতে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০২ পিএম
উচ্ছেদ অভিযান
expand
উচ্ছেদ অভিযান

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট, ঝুপড়িঘর, নির্মাণসামগ্রীর স্তূপ এবং বিভিন্ন স্থায়ী–অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

সকাল থেকেই সওজ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেতৃত্ব দেন সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশফাকুল হক চৌধুরী।

স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের দুই পাশে বহু বছর ধরে ফুটপাত দখল করে দোকানঘরসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। কেউ নির্মাণসামগ্রী রেখে ব্যবসা করছিল, কেউ আবার স্থায়ী দোকানও বানিয়ে নিয়েছিল। এতে মহাসড়কের দুই পাশে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাশাপাশি চলমান ঢাকা–সিলেট ছয় লেন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।

সওজ কর্মকর্তারা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে বিশেষ গতি আনতে এবং মহাসড়কের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হয়েছে।

অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, “মহাসড়ক দখল করে কেউ ব্যবসা বা অবৈধ স্থাপনা স্থাপন করতে পারবে না। সরকারের উন্নয়নকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের সুবিধা রক্ষা করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

তিনি আরও জানান, নিয়মিত তদারকি না থাকলে পুনরায় দখলদারিত্বের প্রবণতা দেখা দেয়। তাই ভবিষ্যতে এ এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদ উল্যা, মাধবপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা এবং সওজের কর্মকর্তারা। যৌথ বাহিনী প্রথমে ব্যানার, টিনশেড দোকান, চায়ের স্টল, বাঁশ–কাঠের ঘরসহ বেশ কিছু স্থাপনা চিহ্নিত করে। পরে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে একে একে এসব স্থাপনা অপসারণ করা হয়।

অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মহাসড়কের পাশে দখলদারিত্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে রাতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সড়কটি এখন অনেকটাই দখলমুক্ত হবে।

তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ উচ্ছেদ করায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন বলছে, বহু আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং নিয়মিত মাইকিং করা হয়েছিল।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, শুধু উচ্ছেদ করলেই হবে না; ভবিষ্যতে যাতে আবার কেউ দখলে না নিতে পারে, সে জন্য সওজ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন