

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মিথ্যা চুরির অভিযোগে আনোয়ার হোসেন নামে এক রিকশাচালককে বাড়ি থেকে ধরে এনে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযুক্ত এসআই মাইনুল হোসেন সলঙ্গা থানায় সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন থানার দেওভোগ গ্রামের মৃত জিহাদ হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই রাতে এসআই মাইনুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ধুবিল কাটারমহল গ্রামের একটি বাড়িতে চুরির মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আনোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তাকে রাতভর থানার হাজতখানায় রাখা হয়।
পরদিন সকালে থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে তাকে মারধর করে চুরির ঘটনায় স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন এসআই মাইনুল। আনোয়ার স্বীকার না করায় তাকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় জুলাই আন্দোলনে হামলা ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখানো হয়।
একপর্যায়ে কোনো তথ্য না পেয়ে এসআই মাইনুল ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে আনোয়ারকে মুসলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়ার আগে ‘আটকের পর পুলিশ কোনো নির্যাতন করেনি এবং ঘুষ নেয়নি’—এমন বক্তব্য আনোয়ারের মুখে ভিডিও করে রাখা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
ভয়ে এতদিন বিষয়টি চেপে রাখলেও ১১ নভেম্বর আনোয়ার সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার অভিযোগটি তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, “সলঙ্গা থানার এসআই মাইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই মাইনুল হোসেন বলেন, “১১ বছরের চাকরি জীবনে আমার বিরুদ্ধে কখনো ঘুষ গ্রহণ বা অবৈধভাবে কাউকে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেনি। রিকশাচালক আনোয়ারের অভিযোগ মিথ্যা। তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে আমি নিজেই চাকরি ছেড়ে দেব।”
মন্তব্য করুন