

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় রাস্তা নির্মাণের অজুহাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি ৩১টি মূল্যবান মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। রাস্তা পাকাকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান ভূইয়া সুমনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী গাছগুলোর মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী আলমপুর কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই রাস্তার দুই পাশের ৩১টি সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয়। প্রথমে বিষয়টি তেমন কেউ বুঝতে না পারলেও গত মঙ্গলবার রাতে কাটানো গাছ সরানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী কিছু গাছ আটকে ফেলেন এবং উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা জিলু মিয়া বলেন, সরকারিভাবে রোপন করা গাছগুলো ২৫-৩০ বছর ধরে আমরা পাহারা দিয়েছি। তখন বলা হয়েছিল, গাছ বিক্রি হলে গ্রামের মানুষও অংশ পাবে। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে সব কেটে নিয়ে গেল।
অন্য এক বাসিন্দা সনজু রহমান বলেন, রাস্তা পাকাকরণের নাম করে সরকারি গাছ কাটা হয়েছে। নিয়মকানুন কিছুই মানা হয়নি।
স্থানীয় যুবক নোবেল জানান, আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন ভাই দিনের বেলা গাছ কাটিয়েছেন। রাতে সরানোর সময় আমরা কিছু গাছ আটকাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসব কোনোটিই মানা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার জানান, গাছ কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন মানা হয়নি। রাস্তা পাকাকরণের সময় আরও কিছু গাছ কাটার প্রয়োজন হতে পারে।
অভিযুক্ত ঠিকাদার রেজাউল হাসান ভূইয়া সুমন ঘটনা স্বীকার করলেও বলেন, রাস্তা নির্মাণের সময়সীমা কম থাকায় দ্রুত কাজ করতে হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই গাছ কাটা হয়েছে এবং সব গাছ এক জায়গায় জিম্মায় রাখা ছিল।
তবে উপজেলা প্রশাসন ঠিকাদারের দাবি অস্বীকার করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে গাছ কাটা অপরাধ। বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন