

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতি থেকে আমানতের টাকা ফেরতের দাবিতে টানা সাতদিন ধরে চলা উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচি প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার রাতের আলোচনার পর আজ আন্দোলনকারীরা সাত দিনের জন্য তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, চলমান সমস্যা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, বড় দুটি সমিতির মালিকপক্ষ এবং ভুক্তভোগীদের মধ্যে থানায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে বড় সমিতিগুলোর মালিকপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে টাকা ফেরতের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ডাকে আমরা আলোচনায় অংশ নিই। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা সাময়িকভাবে সন্তুষ্ট, তবে আগামী সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে আমরা পুনরায় কঠোর কর্মসূচির ডাক দেব।
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ বলেন, “আলোচনায় কিছু অগ্রগতি দেখানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বড় দুটি সমিতির মালিকপক্ষ গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা জমি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। আমরা চেষ্টা করব সাত দিনের মধ্যে আরও অগ্রগতি দেখানো সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর থেকে ‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’ ব্যানারে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও চলছিল। এতে ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা অংশ নেন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ব্যানারে সড়ক অবরোধ, মিছিল, মশাল মিছিল ও একাধিকবার উপজেলা পরিষদ ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচি চালানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো গ্রাহক টাকা ফেরত পাননি।
জেলা সমবায় কার্যালয় জানায়, গ্রাহকরা সমবায় সমিতিতে মোট ৭২০ কোটি ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ১৫০ টাকা জমা রেখেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করছেন, ২৩টি সমিতির মধ্যে আল–আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধনু প্রধান। ছয়টি সমিতির কাছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি টাকা জমা রয়েছে। শুধুমাত্র মাদারগঞ্জের ভুক্তভোগীদের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় হাজার কোটি টাকা সমিতিগুলোতে আটকে আছে। এছাড়া ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরেও বহু গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত।
মন্তব্য করুন