

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সোনালি ধানে ঢেকে গেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। নির্ধারিত হয়েছে ৬৮ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। অনুকূল আবহাওয়া, সার ও কীটনাশকের সময়মতো ব্যবহার এবং কৃষকদের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে ফলন এসেছে আশানুরূপের চেয়েও বেশি।
ফসলের এমন প্রাচুর্যে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। কোথাও কাটাকুটি, কোথাও গাদাগাদি করে ধান মাড়াই- দিগন্তজোড়া মাঠে চলছে নবান্নের আনন্দ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় সব গ্রামেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে ধান কাটার কাজ। বাতাসে ভাসছে নতুন ধানের গন্ধ।
বরইতলী ইউনিয়নের রসূলাবাদ এলাকার কৃষক সাকের উল্লাহ বলেন, এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় ধান অনেক বেশি পেয়েছি। আবহাওয়া ভালো ছিল, কোনো পোকামাকড়ও লাগেনি। খুব খুশি আমরা।
একই কথা জানান কাকারা ইউনিয়নের মিনি বাজার এলাকার কৃষক আকতার আহমদ। তার ভাষ্য, ধানের ছড়ায় মাঠ ভরে গেছে। সোনালি রঙের ধান দেখে মনটাই ভরে যায়। এমন ফলন অনেক দিন পাইনি।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর ১৭ হাজার হেক্টরে উপশী জাত এবং ২ হাজার ৫৫০ হেক্টরে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, মৌসুম শুরুর আগে থেকেই কৃষকদের পোকামাকড় দমন ও সঠিক সার প্রয়োগের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। কৃষকেরা গুটি ইউরিয়া ও এলসিসি পদ্ধতিতে চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, এই মৌসুমে ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮২০ হেক্টরে ধান কাটাও শেষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার-বীজসহ কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ এবং কৃষি অফিসের নিয়মিত পরামর্শ- এসব কারণে কৃষকেরা চাষে আরও উৎসাহিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন