বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালালো স্বামী, তিন সন্তান নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী

এনপিবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
আরজিনা খাতুন
expand
আরজিনা খাতুন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তিন সন্তানের মা মোছা, আরজিনা খাতুনের অভিযোগে তার স্বামী মো. মাসুদ রানা প্রায় ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে পিতার বাড়িতে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোমবার (১৭নভেম্বর) কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক মো. মাসুদ রানার সঙ্গে আরজিনা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে দম্পতির তিন কন্যা- তাবাসুম (১১), আয়শা (৪) ও মায়শা (২) জন্ম নেয়। অভিযোগকারী জানান, প্রায় আট বছর ধরে তার স্বামী তাদের নিজ বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে আরজিনা খাতুন বাড়ির বাইরে গেলে স্বামী মাসুদ রানা পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে তার পিতার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোদ ভাতুরিয়া পশ্চিম পাড়ায় চলে যান। খোয়া যাওয়া সম্পদের তালিকায় রয়েছে- নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৫ জোড়া স্বর্ণের দুল (২ ভরি), ৪টি স্বর্ণের চেইন (২ ভরি), ১ জোড়া স্বর্ণের রুলি বালা (১ ভরি), ৫টি স্বর্ণের আংটি (২১ আনা) ১টি স্বর্ণের নেকলেস (১ ভরি ৮ আনা)। যার মোট আনুমানিক মূল্য ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।

অভিযোগে আরজিনা খাতুন আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার পর তিনি মাসুদ রানার বাবা মো. রফি মন্ডল (৬০)-এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিবাদী সম্রাট হোসেন ও রফি মন্ডল তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পাশাপাশি ৩ নং বিবাদী তাকে প্রাণনাশের হুমকি,ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।

আরজিনা খাতুনের দাবি, স্থানীয় অনেকেই এ ঘটনার বিষয়ে অবগত এবং ধারণা করা হচ্ছে মাসুদ রানা পরিবার-পরিজনের সহযোগিতায় বর্তমানে কোনো অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে রয়েছেন। ভুক্তভোগী তার লিখিত অভিযোগে বিবাদী ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ অর্থ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। বিবাদীরা হলেন- ১) মো. মাসুদ রানা, ২) মো. সম্রাট হোসেন, ৩) মো. রফি মন্ডল, ৪) মোছা, রেবেকা খাতুন।

কুমারখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন