ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বকুল গাছ কেটে সাবাড়

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় সড়ক বিভাজে রোপণ করা বকুল গাছ কাটার অভিযোগে আজমিরি হোসেন (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সাওড়াতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শনিবার সকালে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লা অফিসের পক্ষ থেকে বেলতলী এলাকায় গাছ কাটার ঘটনায় মামলা করা হয়।

সওজ জানায়, প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে বিভাজকের ওপর থাকা অন্তত ৫২টি বকুল গাছ কাটা হয়েছে। একই সঙ্গে বেলি, তালসহ আরও বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু গাছ গোড়া থেকে, কিছু মাঝামাঝি অংশ থেকে কাটা হয়েছে। কয়েকটি গাছ পুড়িয়ে ফেলারও চেষ্টা করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আজমিরি হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের পাশে একটি টিনের ঘরে থাকেন। তিনি নাকি সবজি চাষের উদ্দেশ্যে এসব গাছ কাটেন।

শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সওজের কার্যসহকারী রুহুল আমিন। তিনি বলেন, বেলতলীতে নির্মাণাধীন মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে এসে ১৭টি গাছ কাটা দেখতে পাই। পরে জানতে পারি, আশপাশে আরও কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে। তাই আমরা থানায় মামলা করেছি।

সওজ জানায়, মহাসড়কটি চার লেনে রূপান্তরের পর ২০১৬ সালে সৌন্দর্যবর্ধন ও সড়ক নিরাপত্তার জন্য বিভাজকে ফুলগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়।

কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে প্রায় ১৪৩ কিলোমিটারে বকুল, কাঞ্চন, করবী, গন্ধরাজ, রাধাচূড়া, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদমসহ ৫০ হাজারের বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি বিভাজক ও সড়কের পাশে জলপাই, আকাশমণি, নিম, মেহগনি, অর্জুনসহ আরও ৪০ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, বেলতলী এলাকায় গাছ কাটার ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সওজের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি আজমিরি হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।