

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঋণ চাইনা ক্ষতিপূরণ চাই,জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবিতে বলেশ্বর নদীতে জলবায়ু ধর্মঘট ও নৌবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল দশটার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী রুহিতা পয়েন্টে জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ কর্মসূচিতে শতাধিক তরুণ ও জেলেরা অংশ নেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, পাথরঘাটা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এসমে, সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) পাথরঘাটা সমন্বয়ক উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান উৎস। শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন খাতে অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোর যুদ্ধ–সহায়তা, নব্যঔপনিবেশিক শোষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই এ বিনিয়োগ বন্ধ করা সম্ভব।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বক্তারা কপ ৩০–কে সামনে রেখে “আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করোনা”, “জলবায়ু সুবিচার চাই”, “জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর”, “নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বাড়াও”ঋণ চাইনা ক্ষতিপূরণ চাই,—এমন নানা স্লোগানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জেলে জাকির হোসেন মুন্সি ও নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা জলবায়ু বুঝি না, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে চাই না। যাদের কারনে আমরা ক্ষতি হচ্ছি তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই।
মন্তব্য করুন