শনিবার
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
বগুড়ার সোনাতলা থানা
expand
বগুড়ার সোনাতলা থানা

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের সুজাইতপুর গ্রামে ৯ মাসের এক গর্ভবতী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একই গ্রামের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংড়া মতির বিরুদ্ধে সম্প্রতি এই অভিযোগ ওঠে। ‎ ‎শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের আগে অভিযুক্ত মতির দোকানের পেছনের ঘরে এ ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ল্যাংড়া মতি পলাতক। ‎ ‎ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর তিনি মতির দোকানে পান নিতে যান। মতির দোকানে পান চাইলে সে বলে পিছনের ঘর থেকে সুপারি নিয়ে আসতে। ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই সে আমাকে পেছন থেকে চেপে ধরে বিছানায় ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি ৯ মাসের গর্ভবতী, প্রতিরোধ করতে পারিনি। আমার ছোট মেয়ে ঘরের ভাঙা অংশ দিয়ে ঘটনাটি দেখে ফেলে। ‎ ‎তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের পরে হুমকি দেয় ঘটনা কাউকে না বলতে এবং অন্য কোথাও চলে যেতে। ‎ ‎ভয়ে তিনি প্রথমে নিজের বাড়িতে না গিয়ে খালার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্বামী ও শ্বাশুড়ি ঘটনাটি বুঝতে পারলে তাকে থানায় অভিযোগ দিতে উৎসাহিত করেন। ঘটনাটি ঘটার পর পরই তিনি সোনাতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ‎ ‎ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমরা ন্যায়বিচার চাই, কিন্তু বিচার পাই না। ‎ ‎একাধিক এলাকাবাসী জানায়, ল্যাংড়া মতি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে এলাকায় তার প্রভাব ও উশৃঙ্খল আচরণের কারণে অনেকে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। ‎ ‎তবে অভিযুক্ত 'ল্যাংড়া' মতি পলাতক থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত মতির স্ত্রী বেগম বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই মেয়েটি পান খেতে এসেছিল, ২-৩ মিনিট দেরি হয়েছে, তারপর কি হয়েছে জানি না। পরে শুনি ধর্ষণের কথা বলছে। ‎ ‎ঘটনাটি নিয়ে সোনাতলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর শাহ আলম বলেন, ঘটনাটি ওরকম না। মেয়েরও স্বামী আছে, মতিরও স্ত্রী আছে। তাছাড়া মেয়েটি ৯ মাসের গর্ভবতী। তবে ভিকটিম যদি মামলা দেয় আমরা অবশ্যই আইনিভাবে সহযোগিতা করবো। ‎ ‎এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, আমি গরিব মানুষ অটোরিকশা চালাই। বাড়িতে এসে শুনতে পাই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ‎ ‎এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশ কাজ করছে। ভুক্তভোগী মামলা করলে আমরা মামলা নিয়ে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেবো। ‎ ‎এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার বলছে ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন